জ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
একজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
অনেক সময় দেখা যায়, মুসল্লিরা সতর ঢাকার বিষয়ে সতর্ক থাকেন না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও পোশাকের কারণে সতর খুলে যেতে পারে। যেমন যেসব পুরুষ শার্ট-প্যান্ট পরিধান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে। শার্টের নিচের দিকের দৈর্ঘ্য কম হওয়া এবং টাইট প্যান্টের কারণে সিজদায় গেলে সতরের কিছু অংশ দেখা যেতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ ভালোবাসেন। এমন মানুষের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘সেখানে এমন ব্যক্তিরা আছে, যারা উত্তম রূপে পাক-পবিত্র হওয়াকে ভালোবাসে। আর যারা উত্তম রূপে পবিত্রতা অর্জন করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।
আল্লাহর ভয় মুমিনের অন্যতম সম্পদ। সব সময় আল্লাহ তাআলার ভয় অন্তরে জাগরূক থাকা ইমানের অংশ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, অন্তরে আল্লাহকে সেভাবে ভয় করো, যেভাবে তাঁকে ভয় করা উচিত। সাবধান!
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন মানবতার মুক্তির বার্তাবাহক, ইসলামের শেষ নবী এবং আল্লাহ প্রেরিত শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য পোষণ করা ইমানের মৌলিক অংশ। তাঁর নাম উচ্চারণের সময় কিংবা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবলের কাছে যে সব প্রতিবন্ধকতা হেরে যায়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ মুহাম্মদ রুমান। ৪০-এর ঘর স্পর্শ করা এ হাফেজ রুমান নরসিংদীর রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার মৃত মগল গাজীর ছেলে।
সৃষ্টি জগতের সবকিছুই পরিবর্তনশীল। কোথাও যেমন গুড়ুম গুড়ুম মেঘের ডাক, রিনিঝিনি বৃষ্টি, কোথাও আবার প্রখর রোদের তপ্ত পরিবেশ। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেও হেসে ওঠে সূর্য; কোথাও ঝলমল মিষ্টি রোদে ছেয়ে যায় প্রকৃতি। কোথাও আবার অন্ধকারের চাদরে মুড়িয়ে সন্ধ্যা নামে।
হাঁচি দেওয়ার পর দোয়া পড়া সুন্নত। নবীজি (সা.) এ বিষয়ে সুন্দর পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। যেমন হাদিসে এসেছে, হাঁচি দেওয়ার পর হাঁচিদাতা বলবেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’। অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর।’
আরবি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস রজব। রজব শব্দের অর্থ প্রাচুর্যময়। বিশেষণ যুক্ত করে আরবিতে এ মাসকে বলা হয় ‘রজবুল মুরাজ্জাব’ অর্থাৎ, সম্মানিত প্রাচুর্যময় মাস। আরবি বর্ষপঞ্জির যে চারটি মাসকে পবিত্র কোরআনে হারাম তথা পবিত্র ও সম্মানিত ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে রজব অন্যতম।
পুরুষের জন্য নামাজ বা নামাজের বাইরে গোড়ালির নিচে পায়জামা, লুঙ্গি, প্যান্ট কিংবা জোব্বা পরিধান করা মাকরুহে তাহরিমি। এমন ব্যক্তির ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে কঠিন সতর্কবার্তা বর্ণিত হয়েছে। এখানে এ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো।
ছবি আঁকার ব্যাপারে আলেমগণ বলেছেন, প্রাণীর ছবি আঁকা জায়েজ নয়। তবে প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁকতে কোনো বাধা নেই। তো গ্রাফিতি এই মূলনীতির আলোকে হলে আঁকতে কোনো বাধা নেই। তবে গ্রাফিতি হলো বিনা অনুমতিতে জনসাধারণের অভিমতকে শৈল্পিক উপায়ে অন্যের দেয়ালে লেখা বা আঁকার মাধ্যমে তুলে ধরা।
আরবি আজান শব্দের অর্থ ঘোষণা। আজান ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজানের মাধ্যমেই আহ্বান করা হয়। আজান শুনে আজানের জবাব দেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি এরশাদ করেন, ‘যখন আজান শুনবে, এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (বুখারি: ৬১১)
মানুষের মধ্যে এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা জীবনে সফলতার পথের অন্তরায়। তাই নবী (সা.) এমন সব অভ্যাস থেকে সব সময় পানাহ চেয়েছেন। সেই তিনটি বদভ্যাস হলো—
বিয়ে পবিত্র বন্ধন। এর মাধ্যমে দুজন মানুষ সারা জীবন একসঙ্গে থাকার সংকল্প করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। এভাবেই যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে মানবসভ্যতা টিকে রয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্ক স্থায়ী না হলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জীবনে মরাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বিয়ের আগে সবকিছু দেখেশুনে, উভয় পক্ষের সামাজিক অবস্থান